এম এ মতিন, কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বগুড়ার কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে মোট ১০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার থাকার কথা থাকলে বর্তমানে রয়েছে ১ জন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকার রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অন্যান্য ডাক্তারদের। হাসপাতালে মোট ২৪ জন নার্স থাকার কথা থাকলে বর্তমানে ২৪ জন নার্স রয়েছে তবে ৪ জন ডেপুটিশনে রয়েছেন। হাসপাতালে অনেক আগের এক্সরে মেশিন রয়েছে। নতুন এক্সরে মেশিনের জন্য আবেদন করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত ২৯/০৯/২০১৯ইং তারিখে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা। ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা যোগদানের পর থেকেই তার কর্মস্থল হাসপাতালে অবস্থান করছেন। তিনি যোগদানের পূর্বে হাসপাতালের মধ্যে বখাটে ও মাদক সেবনকারীরা প্রতিনিয়ত আড্ডা দিত।
ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা যোগদানের পরপর কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান ও কাহালু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম এর সার্বিক সহযোগিতায় হাসপাতাল থেকে বখাটে ও মাদক সেবনকারীদের বিতারিত করেন। কাহালু উপজেলার মানুষ হাসপাতালে এসে যেন ভাল চিকিৎসা সেবা পান তার জন্য তিনি প্রতিনিয়ত দফায় দফায় ডাক্তার ও নার্সদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। ডাক্তার ও নার্সদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী হাসপাতালে আসা ও যাওয়ার বিষয় নিশ্চিত এবং সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের উদাত্ত্ব আহবান জানান তিনি। ডাক্তার ও নার্স যেন জনগণের সঠিক সেবা প্রদান করেন সেই জন্য তিনি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সব কিছু মনিটরিং করেন তিনি।
বর্তমানে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জাকিয়া তাসনিম তার কর্মস্থল কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে অবস্থান করছেন। ইতিপূর্বে কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার কেউই তাদের কর্মস্থলে অবস্থান করেননি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) প্রতিরোধে কাহালু পৌরসভা ও উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে জীবনের ঝুকি নিয়ে একটানা ৬৫দিন করোনা মুক্ত রেখেছিলেন কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা কাহালু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম। কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া ২০/২৫ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন।
কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে চালু আছে ইসিজি, ও আর, বি এজ পরীক্ষা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের মতো যেন ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক গুলো এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫টি সাব-হাসপাতালে প্রতিদিন মেডিক্যাল অফিসার জনগণকে ভাল সেবা দিচ্ছেন কি-না তা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নেন কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাছুদুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা।
কাহালু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মুহাম্মদ যাকারিয়া রানা জানান, নানা প্রতিকুলতার মধ্যে আমরা আন্তরিক চেষ্টা করছি চিকিৎসা সেবার মান আরও ভাল করতে। তিনি আরও জানান, আমাদের পক্ষে যে সব রোগীর সেবা দেওয়া সম্ভব নয়, শুধু সেই রোগীগুলোকে আমরা রিপার্ট করি। হাসপাতালে আরও ৯ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আসলে জনগণকে আরও বেশী বেশী আমরা চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।